Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের চতুর্থ বছর
বিস্তারিত

৪ বছরে পা দিল ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র। গত ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৫০১টি ইউআইএসসি উদ্বোধন করেন। বতর্মানে দেশব্যাপী ইউআইএসসির সংখ্যা ৪৫১৬টি। তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের দোরগোড়ায় তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ইউএনডিপির অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে এসব তথ্য ও সেবাকেন্দ্র চালু করা হয়।

এটুআই সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ বছরে এসব তথ্য ও সেবাকেন্দ্র থেকে নানা ধরনের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি সেবা প্রদান করা হয়েছে। আর এসব তথ্য সেবাকেন্দ্রের উদ্যোক্তারা ১৩০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছেন। ইউআইএসসি থেকে এ সময় অনলাইনে সাড়ে ৩ কোটির বেশি জন্ম নিবন্ধন, বিদেশ গমনেচ্ছু প্রায় ২০ লাখ নাগরিকের অনলাইন নিবন্ধন এবং সাড়ে ৪ লাখ জমির দলিলের নকল/পর্চা তৈরি করা হয়। দেশের ৪ হাজার ৫১৬টি ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র (ইউআইএসসি)।

প্রতিষ্ঠার ৩ বছরে প্রযুক্তি সেবা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি সেবা দিয়ে ১৩০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছেন গ্রামীণ এই উদ্যোক্তারা। এদিকে গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের মতো এবার দেশের সব সিটি কর্পোরেশনের ৪০৭টি ওয়ার্ডে ও ৩১৯টি পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে একই ধরনের তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।

এটুআই পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর অফিসের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার জানিয়েছে, এসব তথ্য ও সেবাকেন্দ্র থেকে গ্রামের মানুষ এখন খুব সহজে সরকারি ফরম, নোটিশ, পাসপোর্ট, ভিসা সংক্রান্ত তথ্য, জাতীয় ই-তথ্যকোষ, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন বিষয়ক তথ্য, চাকরির খবর, নাগরিকত্ব সনদপত্র, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলসহ অন্যান্য সরকারি সেবা পাচ্ছেন।

এছাড়াও গ্রামের মানুষ বিদেশে চাকরির অনলাইন নিবন্ধন, ডিসি অফিসের জমির পর্চার আবেদন, মোবাইল ব্যাংকিং, জীবনবীমা সুবিধা, বিদ্যুতের বিল পরিশোধ, মাটি পরীক্ষা ও সার সুপারিশ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া, ই-মেইল করা, ইন্টারনেট ব্যবহার করা, স্বাস্থ্যতথ্য, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, মোবাইল ফোন রিচার্জ করা, কম্পিউটার কম্পোজ, প্রিন্ট দেয়া, ছবি তোলা ইত্যাদি সেবা পাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, কার্যক্রমের আওতায় বর্তমানে একজন নারী ও একজন পুরুষ উদ্যোক্তার পাশাপাশি একাধিক নারী ও পুরুষ বিকল্প উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন প্রতিটি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে।

ছবি
ডাউনলোড